যশোরে শ্রমিক লীগের আলোচিত নেতা সেলিম রেজা পান্নু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সুমন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে যশোর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে যশোর ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ছোট ভাই সুমনকেও আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতায় থাকাকালীন আবুল কালাম আজাদ বারোবাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১২টি মামলা রয়েছে।
এদিকে, যশোর জেলা শ্রমিক লীগের শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা পান্নু ও শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান সুমনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় রেলগেট এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, আসামিরা আওয়ামী লীগের শাসন আমলে নৈরাজ্য চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এছাড়া গত ৪ আগস্ট বিএনপি অফিসের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাথে এই দুই জনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমান পেয়েছে। তাদেরকে এ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সুমন সোমবার একটি টেন্ডারে অংশ নিতে পৌরসভায় যান। সেখানে উপস্থিত ছাত্রজনতা তাকে ধরে ডিবি পুলিশে সোপর্দ করেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে